স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার আর্মি ও আরাকান আর্মিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যাতে বাংলাদেশের দিকে আর গুলি না চালায়। যদি গুলি চালায় তাহলে বাংলাদেশও পাল্টা গুলি চালাবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কখনও মিয়ানমার আর্মি, কখনও আরাকান আর্মি ফায়ার ওপেন করে। আমরা উভয়কেই বলে দিয়েছি তারা আর যদি গুলি করে আমরাও পাল্টা গুলি করবো। এখানে মিয়ানমারের যে দুটি জাহাজ ছিল সেগুলো ফেরত নিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সেখানে আর গুলি হবে না। তারপরও আমাদের যারা ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন, তারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে হলে আমাদের এলাকায় নাফ নদী কিছু নাব্য হারিয়েছে। কাজেই সেখান দিয়ে আমাদের নৌ চলাচল করতে পারে না। মিয়ানমারের অংশ দিয়ে যেতে হয়। যে কারণে এই বিপত্তিটা ঘটেছে।
তিনি বলেন, কখনো মিয়ানমার আর্মি কখনো আরাকান আর্মি ফায়ার ওপেন করে। আমরা উভয়কেই বলে দিয়েছি তারা যদি গুলি করে আমরাও পাল্টা গুলি করবো। ওখান থেকে আর কোনো গোলাগুলি হচ্ছে না। মিয়ানমারের যে দু’টি জাহাজ ছিল সেগুলো ফেরত নিয়ে গেছে তারা। আমরা আশা করছি সেখানে আর গুলি হবে না। তারপরও আমাদের যারা ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
বেনজীর আহমেদ ও আছাদুজ্জামান মিয়া প্রসঙ্গে এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যখন অবসরে যাচ্ছেন। তখন তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি দায় এড়াতে পারেন কিনা। জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু জানি এখন পর্যন্ত অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। সুনির্দিষ্টভাবে এখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। যেগুলো শুনছি তার এতগুলো সম্পদ আছে। কিন্তু তাকে তো এখনও ডাকা হয়নি। তাকে ডাকা হলে তখন বুঝতে পারবো। নিশ্চয়ই তার কোনো জবাব আছে। নিশ্চয়ই তার কোনো আয়ের উৎস আছে। না হলে সে কি এ রকম অপকর্ম করবে? তাকে সুযোগ দিতে হবে তার বক্তব্য জানানোর জন্য। সুযোগ পেলে অবশ্যই সে বলবে তার সম্পদ কতখানি বৈধ, কতখানি অবৈধ। বৈধভাবে সে কতখানি সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা কথা বলতেই হয়। আজ থেকে ১০ বছর আগে যে জমির মূল্য ১০ লাখ টাকা ছিল সেই জমির মূল্য এখন ২ কোটি টাকা হয়ে গেছে। এভাবে অনেকের সম্পদ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে। সেজন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাকে তার উত্তর দিতে হবে। তিনি যদি জবাব দিতে পারেন তাহলে তো আপনাদের এসব প্রশ্নের মিটমাট হয়ে যায়। যদি জবাব দিতে না পারেন তাহলে আমরা বলতে পারবো তিনি দুর্নীতিবাজ। তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর আগে এসব বলার সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাদের কিছু বলার আছে।
তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদ মিশনে বিদেশে অনেকদিন ছিলেন। সেগুলো আপনাদের জানা দরকার। মিশন থেকে সে কত টাকা এনেছে সেগুলো তাকে বলতে হবে। সেই টাকা কত বৃদ্ধি পেয়েছে তিনি জানেন। আমরা কিন্তু জানি না। তার জবাব দেয়ার আগে আমাদের এসব নিয়ে বলা উচিত না। তিনি অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নেয়ার সেটা নেবে।